বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বাংলা ভাষার জন্য যে আন্দোলন হয়েছিল আমি বিশ্বাস করি সেটা শুধু ভাষা আন্দোলন নয়, এটা মানুষের যে চিরন্তন অধিকার আদায়ের আন্দোলন, তারই প্রতিচ্ছবি ছিল ৫২ এর ভাষা আন্দোলন। ভাষা আন্দোলন ছিল বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর এসব কথা বলেন তিনি।
ড. আব্দুল মঈন খান আরও বলেন, ছাত্ররা ১৯৬২ সালে সামরিক শাসক আইয়ুব খানের শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। তারা পরবর্তীতে ১৯৬৯ প্রতিবাদ করেছিল। তারই ফলশ্রুতিতে ১৯৭০ ও ১৯৭১ সালে গিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ছাত্ররা থেমে থাকেনি তারা ১৯৯০ সালে আবার এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল। তাই আমি বলেছি ভাষা আন্দোলন শুধু ভাষা আন্দোলন নয়, ভাষা আন্দোলন ছিল এই বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে বিএনপি সহ সকল গণতন্ত্রকামী দলগুলো যখন প্রতিবাদমুখর হয়ে রাজপথে সরব ছিল তখন অত্যাচারী সরকার ও স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দিয়ে আমাদের ৫০ লক্ষাধিক নেতাকর্মী আসামি করেছিল। এখানে একজনও খুঁজে পাওয়া যাবেনা যে, তাদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দেয়নি। আমাদের তৃনমুল নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারেনি, তাদের বাড়িঘরে আক্রমণ করে টেলিভিশন, ফ্রিজ, ফ্যান ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে। স্বৈরাচারের ভয়ে উপয়ান্তর না পেয়ে ধান ক্ষেত ও গজারিয়া বনে গিয়ে রাত কাটিয়েছে। কিন্তু স্বৈরাচার বুঝতে পারে না, তারা কিছু সময়ের জন্য স্থায়ী হতে পারে, কিন্তু চিরদিনের জন্য স্থায়ী হতে পারে না। ২০২৪ সালে জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতা যখন ফুসে উঠেছে সেই চুরান্ত মুহুর্তে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে এবং আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। কথা সেটা নয় কথা হলো, অন্যায় কখনো চিরস্থায়ী হতে পারে না।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, পলাশ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সহ-সভাপতি এডভোকেট কানিজ ফাতেমা, আওলাদ হোসেন জনি, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন, মোস্তাফিজুর রহমান টিপু, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন চিশতিয়া, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নেছার খান,সদস্য সচিব বখতিয়ার হোসেন,উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন ভূইয়া সোহেল,সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন,সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাফিকুল ইসলাম খান,ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান,সদস্য সচিব আরিফ মিয়া,
ডাংগা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাহীন,সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন রোমান, সিনিয়র সহ সভাপতি শামসুজ্জামান খান,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কিরন মিয়া,ডাংগা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির,যুগ্ম সম্পাদক মোঃ গাফফার মিয়া,জিনারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফিরোজ মোল্লা,সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, পাঁচদোনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাচ্চু মিয়া,সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রানা,সিনিয়র সহ সভাপতি লাল মিয়া,পাঁচদোনা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম গাজী,সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল হাসান, আমদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মাহবুব আলম, সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব আবু সিদ্দিক মিয়া,সাধারণ সম্পাদক আইনুল ইসলাম,মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আঃ রশিদ ভূইয়া,সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান (ভিপি মনির), গজারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শামীম ভূইয়া, চরসিন্দুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আরজু ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমানসহ পলাশ উপজেলার পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা।