বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য,সাবেক মন্ত্রী ও এমপি ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আমাদের প্রতিবেশী, ভাই-বন্ধু, তাঁরা যদি কষ্টে থাকেন, তাহলে ঈদের আনন্দ উদযাপন সম্পূর্ণ হবে না।
নরসিংদী পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর ঈদগাঁ মাঠে শনিবার (৭ জুন) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ের আগে এসব কথা বলেন তিনি।
ড.আব্দুল মঈন খান বলেন, আমাদের প্রতিবেশী, ভাই-বন্ধু, তাঁরা যদি কষ্টে থাকেন, তাহলে ঈদের আনন্দ উদযাপন সম্পূর্ণ হবে না। ইসলামের শিক্ষা হলো, আমরা একে অপরের আনন্দকে ভাগ করে নেব, অংশীদার হবো এবং একে অপরের কষ্টকেও ঠিক একইভাবে ভাগ করে নেব। ইসলামের এই যে শিক্ষা, ভ্রাতৃত্ববোধ, সাম্যের শিক্ষা, তা আমাদের মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, অর্থ, বিত্ত, বৈভব, প্রিয়জন মানুষের জীবনে সবকিছু নয়, এই শিক্ষা ইসলাম আমাদের দিয়েছে। আমরা ঘোড়াশাল-পলাশে আগেও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।আমরা একে অপরের ভাই হিসেবে এখানে শান্তিতে বসবাস করি। কিন্তু পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে অন্যায়কে আমরা প্রশ্রয় দেব না, সহ্য করবো না।কোনো ধরনের দুর্নীতিকে আমরা সহ্য করবো না।
মঈন খান আরও বলেন, এখানে আইনের যে শাসন, সেটা প্রতিষ্ঠিত হতে হবে, শান্তির জীবনযাপন ও শান্তির সমাজ ব্যবস্থা আমরা সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করবো। তাই আসুন, ইসলাম আমাদের যে শিক্ষা দিয়েছে, সেই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আমরা সত্যিকার মানুষ হিসেবে একে অপরের সঙ্গে সুন্দরভাবে বসবাস করবো।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আবুবক্কর সিদ্দিকী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূঁইয়া মিল্টন, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন চিশতিয়া, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন সোহেল, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাফিকুল ইসলাম খান, যুগ্ম আহ্বায়ক মিয়া মোহাম্মদ সজীব, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।