রাজধানীতে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছেন শতাধিক নারী। তাদের দাবি, দেশের নারীদের সংস্কৃতিকে বিনষ্ট ও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে কিছু ধর্মবিদ্বেষী প্রশাসনের নাকের ঢগায় প্রকাশ্যে ধূমপান নিয়ে আস্ফালন করে বেড়াচ্ছে। তারা চায় দেশটাকে মাদকের আখড়ায় পরিণত করতে এবং দেশের নারী সমাজকে সেই বিপথগামীতার দিকে নিয়ে যেতে।
বুধবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোহাম্মদপুর বাসীর ব্যানারে লালমাটিয়ায় এ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে ‘নেশাখোরদের আস্তানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘ধূমপান নিষিদ্ধ কর, করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় নারীদের। পরে মিছিলে সংহতি জানিয়ে যোগদেন লালমাটিয়ার স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় নারীরা বলেন, লালমাটিয়াসহ পুরো ঢাকা শহর মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন বয়সের ছেলে-মেয়েরা প্রকাশ্যে মাদক গ্রহণ করছে। তাদের কারণে শিশুরাও বিপথগামী হচ্ছে। এমনকি এসবের প্রতিবাদ করলে তারা রাস্তায় নেমে আন্দোলনের নামে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়েছে।
মিছিলে অংশ নেওয়া এক নারী বলেন, আমাদের মা-বোনেরা কখনোই যেখানে-সেখানে বসে সিগারেট খেতে পারেন না। এটা আমাদের সংস্কৃতি না। এটা আমাদের দেশের মেয়েদের কাজও না। এটা যেমন আমাদের ধর্ম নিষেধ করেছে, আমাদের সমাজেও এটা বেমানান। যারাই এ কাজ করছে, তারা বিদেশি সংস্কৃতি আমদানির মাধ্যমে দেশের মা-বোনদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, প্রথম কথা হলো পাবলিক প্লেসে ধূমপান আমাদের দেশীয় আইনেই অন্যায় কাজ। কিন্তু কিছু ধর্মবিদ্বেষী নারী সেই অন্যায় কাজটি করেও আবার বিরোধিতা করায় আন্দোলন করছে। আমরা তাদের কাছে কি শিখব ? আমাদের ছোটরা তাদের কাছে কি শিখবে ? এটা কি কোনো ভালো শিক্ষা ? আমরা ছোট থেকেই দেখেছি পুরুষদের কেউ ধূমপান করলেও তারা লুকিয়ে করেন। বড় কেউ দেখে ফেললে তাড়াতাড়ি সেটা ফেলে দেন। এটাই তো আমাদের সমাজের শিক্ষা।
যেসব নারী প্রকাশ্যে ধূমপান করে আবার গর্ব করে বলে এবং প্রকাশ্যে ধূমপানের সুযোগের দাবিতে আন্দোলন করে তাদের নিশ্চয়ই ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে। তারা আমাদের সমাজকে কলুষিত করতে চায়। তারা বাংলাদেশে বিদেশি সংস্কৃতি-কালচার আমদানি করে নারীদের বাজারের পণ্য বানাতে চায়। আমরা তো চোখের সামনে আমাদের সমাজকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না।