
নরসিংদীর পলাশে এমরান ওরফে নয়ন বাবু (৩৫) নামে পাওয়ারলোমের শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের কেন্দুয়াব গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এমরান ওই গ্রামের আমির ইসলামের ছেলে। সে পেশায় একজন তাঁতের শ্রমিক ছিলেন।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, গতকাল রাতে বাড়ির পাশে মোস্তফার পাওয়ারলোমে কাজ করতে যায় এমরান ওরফে নয়ন বাবু। পরে রাত ৩ টার দিকে পাওয়ারলোম ঘরের ভিতর থেকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাহিরে বের হন তিনি। কিন্তু তারপর সে আর ভিতরে প্রবেশ করেনি। আজ ভোর পাঁচটার দিকে সিফাত নামে আরও এক শ্রমিক পাওয়ারলোম ঘরের বাহিরে বের হয়। এসময় তিনি এমরান ওরফে নয়ন বাবুকে পাওয়ারলোম ঘরের বাহিরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে এমরান ওরফে নয়ন বাবু মারা যায়।
নিহতের স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম বলেন, কামাল নামে তার স্বামীর এক বন্ধু এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে। কিছুদিন আগেও কামাল রাত ১২টার সময় এসে আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আজ দুপুরে কামালের বিদেশে চলে যাওয়ার কথা। কামাল আরও মানুষদের নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার চাই।
পলাশ থানা অফিসার ইনচার্জ শাহেদ আল মামুন জানান, নিহত এমরান ওরফে নয়ন বাবু পাওয়ারলোমের শ্রমিক ছিলেন। রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পাওয়ারলোম ঘরের বাহিরে আসার পর কে বা কারা মাথার পিছনে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ফেলে রাখে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে এমরানের মৃত্যু হয়। নিহতের মাথায় কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় তার পরিবারের অভিযোগে প্রেক্ষিতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।