বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, দীর্ঘ একটি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা স্বৈরাচার সরকারকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। এদেশে কোনো স্বৈরাচার থাকতে পারবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে দীর্ঘ সময় আন্দোলন করেছে। তার চূড়ান্ত পর্যায়ে রাজপথে ছাত্র জনতা নেমে এসেছিল।
তিনি বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় নরসিংদী বাজার বণিক সমিতির উদ্যোগে নরসিংদী বাজারে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, নরসিংদী জেলে অন্যায়ভাবে যাদের আটকে রাখা হয়েছিল, ১৯ জুলাই কারাগার ভেঙে তাদের মুক্ত করেছে ছাত্রজনতা। ওই দিন তারা শরীরের রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। ১৭২৭ সালে তেহার জেল ভেঙে যে ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছিল, ১৯ জুলাই নরসিংদী কারাগার ভেঙে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়েছে।আপনারা দেখেছেন, পরবর্তীতে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে স্বৈরাচার পালাতে বাধ্য হয়েছিল। মানুষের চেয়ে বড় কোনো অধিকার পৃথিবীতে নেই।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে যে নতুন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে, সেই বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে ১২ কোটি ভোটার। তারা যেন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা যাদের পক্ষে থাকবে, তাদের আমরা মেনে নেব।
নরসিংদী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি বাবুল সরকারের সভাপতিত্বে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন পলাশ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন, নরসিংদী জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেন শাহ শানু, চড় আড়ালিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান হাসান,আমদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মাহবুব আলম,মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মনির হোসেন,ডাংগা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনিরউজ্জামান মনির,ডাংগা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি শামসুজ্জামান খানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।